নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ টুডে:: জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, ভোটার তালিকাভূক্তি, ভোটার স্থানান্তরসহ উপজেলা নির্বাচন অফিসে নাগরিক হয়রানী, উৎকোচ দাবী, অসৌজন্য আচরণ প্রসঙ্গে কথা বলায় জকিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল খায়ের চৌধুরী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী হেলালীর বিরুদ্ধে জকিগঞ্জ থানায় মিথ্যা ভিত্তিহীন জিডি করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাদমান সাকীব। এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকরা এক জরুরী সভা করে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কর্মকর্তা শাদমান সাকীবের দায়েরকৃত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন জিডি, নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থণা এবং প্রত্যাহারের দাবীতে মঙ্গলবার বিকেলে জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধন পালিত হবে। মানববন্ধন শেষে ঐদিন পরবর্তী কর্মসুচী ঘোষনা করা হবে।
প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল খায়ের চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি এখলাছুর রহমান, সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত পাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী হেলালী, কোষাধ্যক্ষ এনামুল হক মুন্না, প্রেসক্লাব সদস্য রিপন আহমদ, কেএম মামুন, আল হাছিব তাপাদার প্রমূখ।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারী জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য সরকারি ফি জমা দিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন খলাছড়া গ্রামের আব্দুল খালিকের পুত্র মুনিম আহমদ। প্রায় ২ বছরেও এ আইডি সংশোধন না হওয়ার কারণ জানতে প্রেসক্লাব সভাপতি নির্বাচন অফিসার শাদমান সাকীবকে ফোন দিলে তিনি এ বিষয়ে কোন সদুত্তর না দিয়ে উল্টো প্রেসক্লাব সভাপতির সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এছাড়া কোন ধরনের যাচাই বাছাই ছাড়াই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে পরদিন ২৩ জুলাই প্রেসক্লাব যুগ্ম সম্পাদক রহমত আলী হেলালীর বিরুদ্ধে এ বিষয়ে জকিগঞ্জ থানায় একটি জিডি করে। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে একই অভিযোগে জকিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল খায়ের চৌধুরীর বিরুদ্ধেও অনুরূপ আরেকটি জিডি করেন।
অভিযোগ রয়েছে, শাদমান সাকীব জকিগঞ্জ উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই নাগরিকরা প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। এমনকি জাতীয় পরিচত্র সংশোধনে সরকারের অনলাইন সেবাকে নিরুৎসাহিত করে তিনি ফেইসবুক এবং ইউটিউবে বিবৃতি দিয়েছেন। জকিগঞ্জের বিভিন্ন কম্পিউটার প্রতিষ্ঠান অনলাইনে সরকারি এ সেবাকে সহযোগিতা করায় তিনি এ বিষয়েও একাধিক নাগরিকের বিরুদ্ধে জিডি করেন।
Leave a Reply